1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২৪ ঘন্টার মধ্যে সির্তের নিয়ন্ত্রণ পাওয়া সম্ভব, বলছে এনটিসি যোদ্ধারা

৯ অক্টোবর ২০১১

ত্রিপোলির পতন হয়েছে প্রায় দেড় মাস আগে৷ কিন্তু গাদ্দাফির হাত থেকে লিবিয়ার স্বাধীনতা পাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো দিতে পারছেনা নতুন শাসক এনটিসি৷ কারণ সির্তের নিয়ন্ত্রণ এখনো নেয়া যায়নি৷ তবে সেটা অনেকদূর এগিয়েছে৷

এনটিসি যোদ্ধাছবি: dapd

কদিন লাগতে পারে

এনটিসির যোদ্ধারা বলছেন ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সেটা সম্ভব হতে পারে৷ কেননা শহরের মূল অঞ্চলগুলোর অধিকাংশ তারা দখল করে ফেলেছেন৷ সির্ত দখল প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই যোদ্ধাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল দুর্গের মতো দেখতে একটি কনফারেন্স সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ নেয়া৷ আজ সেটা সম্ভব হয়েছে৷ এছাড়া সির্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় হাসপাতালও তারা দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে৷ তাই এনটিসির কম্যান্ডাররা এখন মনে করছেন সির্তের পশ্চিম ও পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ চালানো এনটিসি যোদ্ধাদের মধ্যে সমন্বয় হওয়ার পর দখল নিতে বেশি সময় লাগবেনা৷

কেন এত সময় লাগছে

ছবি: picture alliance / dpa

ত্রিপোলি পতন হতে দুদিনের বেশি সময় লাগেনি৷ কিন্তু সির্তের নিয়ন্ত্রণ পেতে অনেকদিন লাগছে এবং এতে হতাহতও হচ্ছে অনেক বেশি৷ কারণ সির্তের জনগণের বেশিরভাগই গাদ্দাফির সেনাবাহিনীর সদস্য৷ ফলে তারা শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছে৷ এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩ জন এনটিসি যোদ্ধা মারা গেছে আর আহত হয়েছে প্রায় ৩৩০ জন৷ এর মধ্যে শনিবার মারা গেছে ছয় এনটিসি যোদ্ধা৷ এনটিসির চেয়ারম্যান মুস্তফা আবদেল জলিলও স্বীকার করেছে যে, তারা বুঝতে পারেন নি সির্তেতে তারা এতটা প্রতিরোধের মুখে পড়বেন৷

গাদ্দাফি কোথায়?

এনটিসি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ধারণা সাহারা মরুভূমির কোনো এক জায়গায় পালিয়ে আছেন গাদ্দাফি৷ সমর্থক তুয়ারেগ সম্প্রদায়ের লোকজন হয়তো তাঁকে আগলে রেখেছে৷ আর গাদ্দাফির এক ছেলে মুতাসিম, যিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি হয়তো সির্তেতে লুকিয়ে আছেন৷ আর গাদ্দাফির সবচেয়ে আলোচিত ছেলে সাইফ আল ইসলাম রয়েছেন বানি ওয়ালিদে৷ উল্লেখ্য, সির্তের মতো এই শহরটিও এখনো গাদ্দাফির সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ তবে শহরের চারপাশে অনেকদিন ধরেই অবস্থান নিয়ে আছে এনটিসির যোদ্ধারা৷ কেন্দ্র থেকে নির্দেশ না থাকায় তারা শহর আক্রমণে যেতে পারছেন না৷ নতুন শাসক এনটিসি অবশ্য বানি ওয়ালিদ নিয়ে এখন ততটা চিন্তিত নয়৷ সরকার মনে করছে সির্তের দখল পাওয়া গেলেই দেশটির সব বন্দরের নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যাবে এবং তখন স্বাধীনতা ঘোষণা করা যাবে৷ ঘোষণা করা যাবে নির্বাচনের তারিখও৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ