1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২ কোটি টাকা জঙ্গি অর্থায়ন, একজন গ্রেপ্তার

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৮ আগস্ট ২০১৭

প্রায় দুই কোটি টাকা জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে মোশতাক খা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি৷ তুরস্ক থেকে একটি এনজিওর নামে ঐ টাকা এনে জঙ্গি অর্থায়নের কাজে লাগানো হয়েছে বলে ধারণা সিআইডির৷

Bangladesch Polizei in Auseinandersetzung mit mutmaßlichen Islamisten
ছবি: Getty Images/AFP/Str

সোমবার রাত ৮টার দিকে ২৬ বছরের মোশতাক খাকে সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে আটক করা হয়৷ মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকায় সিআইডি সদর দপ্তরে আনা হয়৷ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১০ বছর আগে অবৈধভাবে তুরস্ক যান মোশতাক৷ তুরস্কে তিনি বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ বিদেশে থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, এনজিও, গার্মেন্টস ও ব্যক্তির নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করেন তিনি৷ দেশে ফেরেন পাঁচ বছর আগে৷ এর পর থেকে আটটি প্রতিষ্ঠান ও একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে এক কোটি ৮৯ লাখ টাকা লেনদেন করেছেন মোশতাক৷

সিআইডি-র বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘মোশতাক তুরস্কে গিয়ে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছে৷ ২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মামলা হয়৷ তার ফেসকুকের আইডি থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়৷ দেশে আল কাওসার নামে নিবন্ধনহীন একটি এনজিও পরিচালনা করতেন মোশতাক৷ এই এনজিওর মাধ্যমে ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ওই টাকা তুরস্ক থেকে আনা হয়৷ ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা আনা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেয়া হয়নি৷ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সে এই টাকা আনে৷''

মোল্যা নজরুল ইসলাম

This browser does not support the audio element.

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এই টাকা বিতরণ হয়েছে, তেমন কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম বলেছে মোশতাক৷ টাকা আনার পরই তা দ্রুত বিতরণ করা হয় বলে জানায় সিআইডি৷

সিআইডি জানায়, ‘‘মোশতাকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও মারামারির মামলা৷ তুরস্কে যাওয়ার আগে সে ইসলামি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলেও জানা গেছে৷ টাকা লেনদেনের উৎস সম্পর্কে সদুত্তর দিতে না পারায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷''

মোল্যা নজরুল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে দানের কথা জানিয়েছে মোশতাক৷ ‘‘সেইসব ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আমরা জঙ্গি অর্থায়নের তদন্তের গভীরে যেতে চাই৷ আমরা জানতে পেরেছি সে তার বাড়ি হবিগঞ্জ এলাকায় জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল৷ সরাসরি কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সে জড়িত কিনা এবং কোনো জঙ্গি সংগঠনকে সরাসরি অর্থ দিয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ তবে প্রাথমিকভাবে  মনে হচ্ছে সে জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত৷''

এদিকে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, যেসব জঙ্গি বিদেশে পলাতক রয়েছে, তাদের ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে৷ ‘‘আমরা এরই মধ্যে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি জঙ্গিদের একটি অংশকে চিহ্নিত করতে পেরেছি'', বলছেন মনিরুল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ