চেন্নাই শহরের রাস্তার ধারেই দেখা যায় তাঁদের৷ ফুটপাত কিংবা রাস্তার পাশেই ঘুপচি ঘরে থাকেন তাঁরা৷ সরকার একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই দেবে এ আশায় কারো কারো সেখানেই পার হয়ে গেছে ৩০ বছর৷ কিন্তু ঘর হয়নি তাঁদের৷
বিজ্ঞাপন
চেন্নাই শহরের লোক সংখ্যা ৮০ লাখের মতো৷ এর মধ্যে কমপক্ষে ১০ হাজার একেবারে গৃহহীন৷ ত্রিপলের ঘর বানিয়ে কোনোরকমে থাকেন তাঁরা৷ ঘুমানোর সময় প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র রাখার জায়গাও সেই ঘরে থাকে না৷ তাই জিনিসপত্র বাক্সে ঢুকিয়ে রাখতে হয় ফুটপাতে৷ বৃষ্টিতে মহাবিপদ৷ তখন ভরসা প্লাস্টিক৷ তা দিয়ে গা ঢেকেই বৃষ্টির সময়টা পার করতে হয় তাঁদের৷
চেন্নাইয়ের গৃহহীনদের প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগই এভাবে ফুটপাতে বা রাস্তার কাছের ঘুপচিতে বাস করছেন ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে৷ তাঁদের পেশা মূলত দিন মজুরি৷ দিনে ৩০০ টাকার বেশি আয় বলতে গেলে কারোই নেই৷
ফুটপাথেই যাঁদের সংসার
কলকাতার জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি৷ তার ১০ শতাংশ, মানে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ফুটপাথে থাকেন৷ এঁদের একটা অংশ ঠেলা বা রিকশা চালক, কুলি মজুর, যাঁরা রুটি-রুজির তাগিদে এই শহরে থাকেন৷ বাকিদের জন্ম থেকে মৃত্যু কাটে রাস্তার ধারেই৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
খাওয়া-শোওয়া রাস্তায়
রাস্তায় হলেও প্রত্যেক পরিবারের থাকার নির্দিষ্ট জায়গা থাকে৷ তার মধ্যেই গুছনো সংসার৷ রান্নাঘর, ভাঁড়ারঘর, সব একেবারে গেরস্তবাড়ির মতই৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
অমলীন হাসি
রাস্তায় জন্ম, চূড়ান্ত দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা, তবু অমলীন থাকে শৈশবের হাসি৷ এটাই অবাক করা৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মাথার ওপর ছাদ
সকলেই পথবাসী, কিন্তু ভাগ্যবান কেউ কেউ পেয়ে যায় মাথার ওপর ছাদ৷ যেমন দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাটের এই ফ্লাইওভার৷ গোটা ২০ পরিবারের বাস এর তলায়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ঘর সামলানো
সংসারের পুরুষ-মহিলারা সবাই কিছু না কিছু খুচরো কাজ করেন৷ রাস্তার সংসার সামলানোর জন্যে থেকে যান বয়স্ক আর শিশুরা৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
এক চিলতে জীবন
সরু একফালি বুলেভার্ডে নড়াচড়ার জায়গা থাকে না৷ দুধারের রাস্তা দিয়ে দিনরাত ছুটে চলে ব্যস্ত ট্রাফিক৷ কিন্তু উপায় কী? তার মধ্যেই পথবাসীদের ঘরবাড়ি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ফুটপাথই ঠিকানা
ওদের নিশ্চয়ই কোনো চিঠি আসে না৷ কোন ঠিকানায় আসবে? আজ এই ফুটপাথে বাস, তো কালই হয়ত খেদিয়ে দিল পুলিস৷
শুধু তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই নয়, ভারতের সব শহরেই অসংখ্য মানুষ এভাবে জীবনযাপন করছেন৷ দেশের ১২৫ কোটি মানুষের এক তৃতীয়াংশই শহরবাসী৷ মোট শহরবাসীর অন্তত ৩ কোটি ৭০ লাখ বাস করে , কিংবা ফুটপাতে৷
২০১৪ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সারা বিশ্বের মানুষ এত বেশি হারে শহরমুখি হচ্ছে যে ২০৫০ সাল নাগাদ হয়ত দেখা যাবে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ শহরবাসী৷
তাই বলে তো শহরাঞ্চলে হাজার হাজার মানুষের ফুটপাতবাস কিংবা বস্তিতে বসবাস মেনে নেয়া যায় না৷ মানবাধিকার কর্মীরা মনে করেন, ভারতে এই বিষয়টির দিকে নজর দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে৷ বেসরকারি সংস্থা আইআরসিডিইউসি-র ভ্যানেসা পিটার বলছিলেন, ‘‘আমরা তো নগরায়নকে রুখতে বা উল্টোমুখী করতে পারবো না, তাই পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ হয়ে ওঠার আগে এই সমস্যাটার দিকে জরুরি ভিত্তিতে নজর দিতে হবে৷''
ইরানে কবরস্থানেও থাকে গৃহহীন মানুষ!
গত কয়েক বছর ধরে ইরানে গৃহহীন মানুষ এত বেশি হারে বাড়ছে যে কবরের ভেতরেও পাওয়া যাচ্ছে জীবিত মানুষ৷ মানবাধিকারকর্মীরা এ পরিস্থিতির জন্য প্রেসিডেন্ট রৌহানিকেই দায়ী করছেন৷ ছবিঘরে দেখুন ইরানের গৃহহীনদের দুর্ভোগ৷
ছবি: Isna
এত মানুষের জায়গা কোথায়!
গত ডিসেম্বরে শীতের কষ্টে মরনাপন্ন অবস্থা হয়েছিল তেহরানের গৃহহীনদের৷ অনেকেই তখন আশ্রয় শিবির ‘ঘাভারন’-এ গিয়ে ওঠেন৷ সেখানে তখন অন্তত ৯০০ জনকে আশ্রয় দিতে হয়েছিল৷
ছবি: IRNA
উষ্ণ আশ্রয়
ঘাভারনের ধারণক্ষমতা শুরুতে ৪৪ হলেও পরে তা বাড়িয়ে প্রথমে ৬০০, তারপর আরো বাড়িয়ে ১১০০ করা হয়েছে৷ অর্থাৎ এখন সেখানে অন্তত ১১০০ মানুষ থাকতে পারেন৷ ইরানে গৃহহীনের সংখ্যা বৃদ্ধির মূল কারণ বেকারত্ব, মাদকাসক্তি, সামাজিক বৈষম্য এবং দারিদ্র্য৷ এই আশ্রয় শিবিরে সবার জন্য গোসল, এক বেলার খাবার এবং রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা রয়েছে৷
ছবি: Irna
কার্ডবোর্ডের ঘরে মৃত্যু
ইরানের বিভিন্ন শহরে গৃহহীনদের কার্ডবোর্ডের কার্টনে থাকতে দেখা যায়৷ স্থানীয়রা এই বাক্সকে বলেন ‘কার্টনখাব’৷ প্রতি শীতেই এই কার্ডবোর্ডের ঘরে অনেক মানুষ মারা যান৷ গত ডিসেম্বরে এভাবে মারা গেছেন ২৮ বছর বয়সি এক গৃহহীন৷ জানা গেছে, ঐ ব্যক্তিকে মাদকাসক্তির কারণে নিজের ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল৷
ছবি: shabestan.ir
গৃহহীন নারী-শিশু
এই ছবিটি গত বছরের আগস্ট মাসে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আলোড়ন তুলেছিল৷ ছবিটি প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্টরা সরকারের প্রতি এই নারী-শিশুদের জন্য কিছু করার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রশাসন তেহরানের দু’টি এলাকা থেকে ১২ জন নারী এবং ৬ শিশুকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়৷
ছবি: tnews
কবরই যখন অস্থায়ী ঘর
সরকার গৃহহীনদের উদ্ধারের উদ্যোগ শুরু করার এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশিত হয় আরো ভয়ংকর এক বাস্তব চিত্র৷ জানা যায়, ইরানের অনেক গৃহহীন মানুষ শীতকালে জীবন বাঁচাতে খালি কবরের ভেতরে রাত কাটায়৷ ‘শারভান্দ’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুধু নাসিরাবাদ শহরেই এভাবে রাত কাটাচ্ছে অন্তত ৫০ জন মানুষ৷
ছবি: Isna
রৌহানি দায়ী
এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দ্রুতই কবর থেকে মানুষদের সরিয়ে নেয় প্রশাসন৷ তারপরও বিরোধীরা সরকারের সমালোচনার সুযোগ ছাড়েনি৷ তাঁরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট রৌহানি গৃহহীনদের পুনর্বাসনের বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷
ছবি: shahrvanddaily.ir
অন্তঃসত্ত্বারাও কবরবাসী!
গত বছর যাঁরা শীতের প্রকোপ থেকে প্রাণ বাঁচাতে কবরে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁদের তিন শতাংশই ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা নারী৷ সেসব নারীর অনেকেই মাদকাসক্ত৷ চিকিৎসা নিতে গেলে আইনের আওতায় নেয়া হবে – এই ভয়ে তাঁরা কোনো অবস্থাতেই ডাক্তারের কাছে যেতে চান না৷
ছবি: Tasnimnews
গৃহহীনের জন্য সূর্যোদয়
গত এক দশক ধরে ইরানের গৃহহীনদের জন্য কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা ‘তোলু বিনেশানহা’, যার অর্থ ‘অদৃশ্যদের সূর্যোদয়’৷ গৃহহীনদের খাদ্য এবং সামাজিক সেবা দেয় তারা৷
ছবি: MEHR
8 ছবি1 | 8
ভারতে ২০১২ সালের শীতে মারা গিয়েছিল অনেক গৃহহীন মানুষ৷ তারপর প্রত্যেক রাজ্য সরকারকে গৃহহীনদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ নির্দেশ অনুযায়ী গৃহহীনদের জন্য ঘর বানানোর বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ এখনো তৈরি হচ্ছে ঘর৷ কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা খুব অপ্রতুল৷
তাছাড়া সেসব ঘরে অনেকে যেতেও চান না৷ না যেতে চাওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে শান্তি ভি. বললেন, ‘‘মাঝে মাঝে সরকারি কর্মকর্তারা এসে বলেন, ‘তোমাদের নতুন ঘরে নিয়ে যাবো৷ কিন্তু ঘরগুলো একটু দূরে৷' ঘর দূরে হলে আমরা কাজ করব কোথায়? বাচ্চারা স্কুলে যাবে কী করে? যাতায়াত খরচ দেবো কী করে? '' তাঁর মতে, ‘‘যদি বিকল্প উপায় মানে এত দূরে যাওয়া হয়, তাহলে তো আমাদের এভাবে রাস্তার পাশে থেকে যাওয়াই ভালো৷''
এসিবি/ডিজি (টমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)
গৃহহীন থেকে তাঁরা এখন সম্পদশালী তারকা
একসময় মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও ছিল না তাঁদের৷ অথচ এখন তাঁরা সফল তারকা এবং সেই সুবাদে অঢেল সম্পদের মালিক৷ জেনে নিন শূন্য থেকে মিলিয়নেয়ার হয়ে যাওয়া কয়েকজন সুপারস্টারের কথা৷
ছবি: AP
এক সময় পার্কের বেঞ্চেও শুয়েছেন ড্যানিয়েল ক্রেইগ
জেমস বন্ড তারকা ড্যানিয়েল ক্রেইগ এখন কমপক্ষে ৬০ মিলিয়ন ডলারের মালিক৷ বাড়ি-গাড়ির অভাবের তো প্রশ্নই ওঠে না৷ অথচ একসময় তাঁকেও রাত কাটাতে হয়েছে লন্ডনের হাইড পার্কের বেঞ্চে৷ তাঁর স্মৃতিচারণাতেও নানা সময় উঠে এসেছে সে কথা৷ এখন সুসময়৷ জেমস বন্ড সিরিজের ‘স্কাইফল’-এ অভিনয় করেই ১৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন ড্যানিয়েল ক্রেইগ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Gindl
গৃহহীন থেকে আজকের সুপারস্টার হেলি বেরি
২১ বছর বয়সে নিউ ইয়র্কে জীবনযুদ্ধ শুরুর সময়টায় শহরের গৃহহীনদের আশ্রয় শিবিরেই থাকতে হয়েছিল তাঁকে৷ মারিয়া হেলি বেরিও এখন হলিউড সুপারস্টার৷ ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রাসাদোপম অট্টালিকায় তাঁর বাস৷ ১৯৯১ সালে ‘স্পাইক লি’ ছবির মাধ্যমে তারকারাজ্যে প্রবেশের পর থেকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি৷ জেমস বন্ড সিরিজে অভিনয় করেছেন৷ অস্কার জিতেছেন৷ এক সময়ের গৃহহীন হেলি বেরির আয় ইতিমধ্যে ৭০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে৷
ছবি: picture alliance/kpa
এক সময় বাসের সিটে রাত কাটিয়েছেন স্ট্যালোন
সিলভেস্টার স্ট্যালোনও একসময় বাসের সিটে রাত কাটিয়েছেন৷ নিউ ইয়র্কে তখন তাঁরও থাকার জায়গা নেই৷ বাসের সিটে শুয়ে শুয়েই পত্রিকার বিজ্ঞাপন পড়লেন৷ সেই বিজ্ঞাপনে একটি পর্নো ছবিতে অভিনয়ে আগ্রহীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে৷ একদিন কাজ করলে ১০০ ডলার পাওয়া যাবে৷ স্ট্যালোন পরের দিনই চলে যান অভিনয় করতে৷ বাকিটা ইতিহাস৷ ‘ব়্যাম্বো’ ছবির স্ট্যালোন এখন ৩৪০ মিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের সম্পত্তির মালিক!
ছবি: picture-alliance/dpa
মায়ের সঙ্গে রাগ করে ঘর ছাড়া জেনিফার লোপেজ
অভিনেত্রী, গায়িকা জেনিফার লোপেজের গল্পটা একটু অন্যরকম৷ লেখাপড়া আর ভবিষ্যৎ নিয়ে মায়ের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া হওয়ায় রেগেমেগে ঘর ছাড়েন জেনিফার৷ কিন্তু চলবেন কী করে? ড্যান্স স্টুডিয়োতে কাজ করার সুযোগ এলো৷ লুফে নিলেন সেই সুযোগ৷ হলিউডের এই সেক্সি তারকার আয় এখন ১১০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Senna
শৈশবেই সংসারের হাল ধরেছিলেন জিম ক্যারি
বাবার চাকরি যাওয়ায় জিম ক্যারিকে সংসারের হাল ধরার কথা ভাবতে হয়েছিল মাত্র ১২ বছর বয়সে৷ তাঁকেও তখন বাসের সিটে রাত কাটাতে হয়েছে৷ হলিউডের সাড়া জাগানো এই কৌতুক অভিনেতার সহায়-সম্পত্তির মোট আনুমানিক মূল্য এ মুহূর্তে ১৫০ মিলিয়ন ডলার৷
ছবি: Getty Images
মায়ের একট টেলিফোন এবং হিলারি সোয়াঙ্ক
অভিনেত্রী হিলারি সোয়াঙ্ক লস এঞ্জেলেসে চলে যান ১৫ বছর বয়সে৷ অবশ্য সঙ্গে মা ছিলেন৷ মা-মেয়ের কাছে ছিল মাত্র ৭৫ ডলার৷ বাস নয়, থাকার জায়গা ছিল না বলে তখন নিজেদের গাড়িতেই রাত কাটিয়েছেন হিলারি সোয়াঙ্ক আর তাঁর মা৷ রাস্তার পাশের এক টেলিফোন বুথ থেকেই মা একদিন এক পরিচালককে ফোন করে মেয়েকে একটা সুযোগ দেয়ার অনুরোধ করলেন৷ তাঁর সেই মেয়ে এখন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী এবং কমপক্ষে ৪০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উইলিয়াম শ্যাটনারের তখন দুঃসময়
‘স্টারট্রেক’ ছবিতে ক্যাপ্টেন কার্ক চরিত্রে অভিনয় করে প্রায় অমরত্ব পেয়ে যাওয়া উইলিয়াম শ্যাটনারকেও একটা সময় পিকআপ ভ্যানে রাত কাটাতে হয়েছে৷ ১৯৬৯ সালে স্টারট্রেকের শুটিং বন্ধ করা হয়৷ স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়িও হয় তখন৷ দুঃসময় বেশি দিন থাকেনি৷ কারণ কিছুদিন পর আবারো স্টারট্রেকের শুটিং শুরু হয়৷ শুটিং শেষে প্রচার শুরুর পরই রাতারাতি তারকা হয়ে যান শ্যাটনার৷ এখন তাঁর মোট আয়ের পরিমাণ ১০০ মিলিয়ন ডলারের মতো৷
ছবি: Paramount
শানিয়া টোয়াইনকেও আশ্রয় শিবিরে থাকতে হয়েছে
সংগীত শিল্পী শানিয়া টোয়াইনও জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা শুরুর সময় কিছু দিন গৃহহীনদের আশ্রয় শিবিরে থেকেছেন, কখনো আবার বাসের সিটে শুয়েও তাঁকে কাটাতে হয়েছে রাত৷ ক্যারিয়ারে তাঁর মোট আয় এখন ২৪৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি৷
ছবি: Getty Images/E. Miller
তখন জঁ ক্লদ ভ্যান ডামও গৃহহীন
‘ব্লাডস্পোর্ট’, ‘ইউনিভারসাল সোলজার’ এবং ‘সাডেন ডেথ’-এর মতো অ্যাকশন ছবির জনপ্রিয় নায়ক ভ্যান ডামও জীবিকার সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেস শহরে গিয়ে প্রথমদিকে রাস্তায় ঘুমাতে বাধ্য হয়েছেন৷ সে সময় খাবারও জুটত না তাঁর প্রতিদিন৷ ‘মি. বেলজিয়াম’ খেতাব জেতা সাবেক এই বডি বিল্ডার এখন ৩০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদের মালিক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/KPA
গৃহহীন মেয়েটিকে ধর্ষণের শিকারও হতে হয়
যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ওপ্রা উইনফ্রের শৈশবের প্রায় পুরোটা সময়ই কেটেছে অর্ধাহারে-অনাহারে৷ পরিত্যক্ত শিশুদের আশ্রয় শিবিরে থেকেছেন কিছুদিন৷ তখন ধর্ষিতাও হয়েছেন ‘ওপ্রা উইনফ্রে শো’ উপস্থাপনার কারণে সারা বিশ্বে পরিচিতি পাওয়া এই কৃষ্ণকলি৷ সেই অপরাহ উইনফ্রে এখন ৩ বিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের সম্পদের মালিক৷
ছবি: AP
10 ছবি1 | 10
বন্ধু, কেমন লাগলো প্রতিবেদনটি? জানিয়ে দিন আমাদের, লিখুন মন্তব্যের ঘরে৷