রাজধানীর বনানীতে অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙার চার সাংবাদিকসহ পাঁচজনকে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে৷ এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন সাংবাদিকরা৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, বুধবার সন্ধ্যা থেকে আড়াই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তাদের আটক রাখা হয়৷
আটকে রাখা সাংবাদিকরা হলেন- মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক বদরুদ্দোজা বাবু, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাজহার মিলন, ক্যামেরা পার্সন সাইফুল ইসলাম, সোহাগ এবং প্রযোজক সায়েম খান৷
তাঁদেরকে রাতে ছেড়ে দিলেও দুটি ক্যামেরা ও তাঁদের মোবাইল ফোন রেখে দেওয়া হয়৷ বদরুদ্দোজা বাবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীনের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলাম৷ আগেই কথা বলে সময় ঠিক করা হয়েছিল৷ সাক্ষাৎকার গ্রহণের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম সংক্রান্ত নথিপত্র দেখিয়ে প্রশ্ন করা হয়৷ এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং ক্যামেরাম্যান ও প্রডিউসারের উপর প্রথমে হামলা করেন এবং পরে অন্যান্য লোকজন এসে তাঁদের মারধর করে৷ গুলি করে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়৷''
ঘটনাটি প্রসঙ্গে বাবু তাঁর ফেসবুক পাতায় #গুপ্তচর ব্যবহার করে লিখেছেন,‘‘এরকম পরিস্থিতিতে আগে অনেকবার পড়েছি৷ তবে এবারের অভিজ্ঞতা ছিলো ভিন্ন৷ মেরে ফেলার হুমকি, চাকরি খেয়ে ফেলার ধমক, পুলিশে ধরিয়ে দেয়া, এমনকি দু'জন সাংবাদিকের গায়ে হাতও তুলেছে তারা৷ না তারা অশিক্ষিত নয়, তারা শিক্ষার আলো ছড়ান সমাজে! অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের চেয়ারম্যান তিনি, নাম ইশতিয়াক আবেদিন৷ ছিলেন তাদের গোটা পরিবার, যারা বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্য৷
বাকস্বাধীনতা যেখানে যেমন
আপনার দেশে বাকস্বাধীনতা পরিস্থিতি কেমন? ডয়চে ভেলের দুই সাংবাদিক এই প্রশ্ন করেছিলেন সদ্য সমাপ্ত গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে আগত বিভিন্ন দেশের ব্লগার, সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্টদের৷
ছবি: DW/A. S. Brändlin
শাম্মী হক, অ্যাক্টিভিস্ট, বাংলাদেশ
‘‘বাংলাদেশের মানুষ তাদের মনের কথা বলতে পারেন না৷ সেখানে কোনো বাকস্বাধীনতা নেই এবং প্রতিদিন পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যাচ্ছে৷ একজন সামাজিক অ্যাক্টিভিস্ট এবং ব্লগার হিসেবে আমি ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করি, যা ইসলামিস্টরা পছন্দ করেনা৷ তারা ইতোমধ্যে ছয় ব্লগারকে হত্যা করেছে৷ ফলে আমি দেশ ছাড়তে বাধ্য হই৷’’
ছবি: DW/A. S. Brändlin
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ভেনেজুয়েলা
‘‘বাকস্বাধীনতা হচ্ছে এমন এক ধারণা যার অস্তিত্ব আমার দেশে নেই৷ সাংবাদিকরা জরিমানা আর নিজের জীবনের উপর ঝুঁকি এড়াতে সরকারের সমালোচনা করতে চায়না৷ সরকারের সমালোচনা করলে সাংবাদিকদের বিচারের মুখোমুখি হতে হয়৷ এরকম পরিস্থিতির কারণে অনেক সাংবাদিক দেশ ছেড়ে চলে গেছেন৷ দেশটির আশি শতাংশ গণমাধ্যমের মালিক সরকার, তাই সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া৷’’
ছবি: DW/A. S. Brändlin
রোমান দবরোখটভ এবং একাতেরিনা কুজনেটসোভা, সাংবাদিক, রাশিয়া
রোমান: ‘‘রাশিয়ায় সরকার আপনাকে সেন্সর করবে৷ আমাদের ওয়েবসাইটটি ছোট এবং লাটভিয়ায় নিবন্ধিত৷ ফলে আমি সেন্সরশিপ এড়াতে পারছি৷ তা সত্ত্বেও সরকার মাঝে মাঝে আমাদের সার্ভারে হামলা চালায়৷’’ একাতেরিনা: ‘‘রাশিয়ায় বাকস্বাধীনতার কোনো অস্তিত্ব নেই৷ ইউরোপের মানুষ রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে স্বাধীন৷ আমি আশা করছি, রাশিয়ার পরিস্থিতিও বদলে যাবে৷’’
ছবি: DW/A. S. Brändlin
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সিরিয়া
‘‘বেশ কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ায় বাকস্বাধীনতার কোনো অস্তিত্ব নেই৷ এমনকি আসাদের শাসনামল সম্পর্কে অনুমতি ছাড়া মতামতও প্রকাশ করা যায়না৷ এটা নিষিদ্ধ৷ কেউ যদি সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাহলে খুন হতে পারে৷ আমি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনামূলক কিছু লিখি, তাহলে বেশিদিন বাঁচতে পারবো না৷’’
ছবি: DW/A. S. Brändlin
আয়েশা হাসান, সাংবাদিক, পাকিস্তান
‘‘পাকিস্তানে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’ শব্দ দু’টি খুবই বিপজ্জনক৷ এগুলোর ব্যবহার আপনার ক্যারিয়ার বা জীবন শেষ করে দিতে পারে৷’’
ছবি: DW/A. S. Brändlin
রাবা বেন দউখান, রেডিও সাংবাদিক, টিউনিশিয়া
‘‘আমাদের অভ্যুত্থানের একমাত্র ফল হচ্ছে বাকস্বাধীনতা৷ আমরা এখন আমাদের সরকারের সমালোচনা করার ব্যাপারে স্বাধীন৷ এবং আমি যখন আমাদের অঞ্চলের অন্য দেশের বাসিন্দাদের বাকস্বাধীনতার কথা জিজ্ঞাসা করি, তখন একটা বড় ব্যবধান দেখতে পাই৷ আমাদের দেশে দুর্নীতিসহ নানা সমস্যা আছে সত্যি, তবে বাকস্বাধীনতা কোনো সমস্যা নয়৷’’
ছবি: DW/A. S. Brändlin
খুসাল আসেফি, রেডিও ম্যানেজার, আফগানিস্তান
‘‘বাকস্বাধীনতা আফগানিস্তানে একটি ‘সফট গান৷’ এটা হচ্ছে মানুষের মতামত, যা সম্পর্কে সরকার ভীত৷ এটা চ্যালেঞ্জিং হলেও আমাদের প্রতিবেশীদের তুলনায় আমাদের অবস্থা ভালো৷’’
ছবি: DW/A. S. Brändlin
সেলিম সেলিম, সাংবাদিক, ফিলিস্তিন
‘‘ফিলিস্তিনে সাংবাদিকদের খুব বেশি স্বাধীনতা নেই৷ একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, সাংবাদিকরা মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করতে পারে না৷ ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করছে৷ তারা যদি ফেসবুকে তাদের মতামত জানায়, তাহলেও সরকার গ্রেপ্তার করে৷ তবে সিরিয়া বা ইরাকের চেয়ে অবস্থা ভালো৷’’
ছবি: DW/A. S. Brändlin
অনন্য আজাদ, লেখক, বাংলাদেশ
‘‘আমাদের দেশে কোনো বাকস্বাধীনতা নেই৷ আপনি ইসলাম বা সরকারের সমালোচনা করে কিছু বলতে পারবেন না৷ ইসলামী মৌলবাদীরা ঘোষণা দিয়েছে, কেউ যদি ইসলামের সমালোচনা করে, তাহলে তাকে হত্যা করা হবে৷ আমি একজন সাংবাদিক এবং গত বছর আমাকে ইসলামিস্ট জঙ্গিরা হত্যার হুমকি দিয়েছে৷ ফলে আমাকে দেশ থেকে পালাতে হয়েছে৷’’
ছবি: DW/A. S. Brändlin
9 ছবি1 | 9
একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলাম সেখানে৷ মেইলে প্রশ্ন পাঠিয়ে সময় ঠিক করা হয়৷ সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে তাদের নানা অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণসহ তুলে ধরতেই ক্ষেপে যান চেয়ারম্যান৷ ক্যামেরা ভাঙেন, মোবাইল কেড়ে নেন আর গালিগালাজ তো ছিলই৷ আড়াই ঘণ্টা আটক থাকার পর বনানী পুলিশ স্পটে যায়, আমার সহকর্মীরা সবাই ছুটে যান৷ বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকার সাংবাদিকরাও আসেন৷ আমরা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হই৷''
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বেশ কয়েকবার পুরস্কার পাওয়া বাবু আরও লিখেছেন, ‘‘গোপনীয় কিছু নিয়ে আমরা অনুসন্ধান করছি না৷ বড় ধরনের অনিয়ম আর দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছি আমরা৷ সেই বিষয়ে তাদের বক্তব্য কী, তা জানতে গিয়েছিলাম৷ প্রশ্ন করেছি, চোখে চোখ রেখে, আমাদের অপরাধ ছিলো এটাই৷ যদি বলেন, এটা গুপ্তচরের কাজ, তাহলে বলতে চাই আমি গুপ্তচর৷ জনস্বার্থে করি সাংবাদিকতা৷আমার সাহস আপনারা, যারা ছুটে গিয়েছিলেন কিংবা উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন, আমাদের ফিরে আসার। আমরা থামতে চাই না।’’
ঘটনার আরেক সাক্ষী সাংবাদিক মাজহার মিলন ফেসবুক পাতায় লিখেছেন,‘‘আমাদের কাজের ধরনটাই এমন বিপদসংকূল৷ এটা স্বীকার করেই এই পথে হাঁটা৷ অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভিার্সিটি এআইইউবি দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটা৷ আমাদের অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ উঠে এসেছে৷ গত তিন মাস ধরে তিলে তিলে আমরা সেগুলোর প্রমাণ সংগ্রহ করেছি৷ সবগুলো প্রমাণ তাদের সামনে পেশ করেছি৷ কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা দুর্নীতি-অনিয়ম ঢাকতে চান পেশিশক্তি ব্যবহার করে৷ একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আর সদস্যরা (প্রায় সবাই-ই এক পরিবারের) কতটা হিংস্র হতে পারেন সেই ধারণা আমাদের ছিল না৷ আমার শার্ট খুলে গোপন ক্যামেরা আছে কিনা, চেক করতে গিয়ে বোতামগুলো ছিঁড়ে ফেলেছেন৷ তাদের পরিবারের সব সদস্য মিলে যে গালিগালাজ তিন ঘন্টা ধরে করেছেন, সেসব মুখে আনার অযোগ্য৷ আমাদের চাঁদাবাজ হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টাও হয়েছে৷ আমাদের সবগুলো ফুটেজ তারা নষ্ট করেছে৷ সবার সবগুলো মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফরম্যাট দিয়েছে৷ রেখে দিয়েছে ক্যামেরা ও সেলফোনের মেমোরি কার্ড! আমাদের পারিবারিক, পেশাগত জীবনে সেটা খুব বড় একটা ক্ষতি৷ আমরা দেখেছি, তাদের হাত অনেক লম্বা৷ গণমাধ্যমের অনেক বড় বড় কেউকেটাদের সঙ্গে সখ্য রয়েছে, রয়েছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গভীর যোগাযোগ৷ রয়েছে মাস্তান বাহিনী৷ ভয়ভীতি দেখিয়ে, জীবননাশের হুমকি দিয়ে, কিংবা অর্থের বিনিময়ে কিনে নিয়ে নিশ্চয়ই অনেককে থামিয়ে রাখা যায়৷ কিন্তু সবাই বিক্রির জন্য নয়, থামার জন্য নয়৷ এই সমাজ-রাষ্ট্রকে দুর্নীতিমুক্ত করে ফেলব, সেটা বলছি না৷ কিন্তু আমাদের যতটুকু করার আছে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেটা করে যাব৷''সাংবাদিক আশরাফুল হক লিখেছেন, ‘‘
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিত মানুষের এমন আচরণ, ভাবতেও পারিনি! সহকর্মীদের আড়াই ঘণ্টা আটকে রেখেছিলেন৷ ভরসা ছিলেন সাংবাদিকরাই৷ খবর পেয়ে ছুটে গেছেন সবাই৷ সেই ঐক্যই শক্তি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছেন সহকর্মীরা৷''
২০১৫ সালে নিহত ১৮ ব্লগার
‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে অন্তত ১৮ জন নেটিজেন এবং সিটিজেন জার্নালিস্ট বা ব্লগার প্রাণ হারিয়েছেন৷ এদের মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশে খুন হন চারজন ব্লগার, তবে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন সিরিয়ায়৷
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abbas
সবচেয়ে বেশি সিরিয়ায়
বর্তমানে গৃহযুদ্ধের কবলে থাকা সিরিয়ায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশি নেটিজেন এবং সিটিজেন জার্নালিস্ট খুন হয়েছেন৷ প্যারিসভিত্তিক ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ বা আরএসএফ-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম হত্যাকাণ্ড ঘটে পহেলা জানুয়ারি, খুন হন দিরার মুসা আল জাহিদ৷ আর সর্বশেষ ২৭ অক্টোবর জুম্মা আল-আহমেদ৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Lawler
বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে
বাংলাদেশে সিরিয়ার মতো গৃহযুদ্ধ না চললেও খুন হয়েছেন চার ব্লগার, আহত কয়েকজন৷ এদের সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে৷ চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় খুন হন লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায়৷ সর্বশষে সাত আগস্ট খুন হন ব্লগার নিলয় চট্টোপাধ্যায়৷ নিহতরা সবাই নাস্তিক এবং ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
ব্রাজিলে নিহত এক
ব্রাজিলে ১৮ মে খুন হন ব্লগার ইভানি জোসে মেৎসকার৷ ধারণা করা হয়, তাঁকে হত্যার আগে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছিল৷ নিহত হওয়ার আগে শিশু পতিতাবৃত্তি নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন তিনি৷
ছবি: Facebook
ইসলামিক স্টেট-এর হাতে খুন জুহায়ের
ইরাকের মসুলের সিটিজেন জার্নালিস্ট জুহায়ের কিনান আল-নাহাস৷ আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিমান হামলায় দগ্ধ তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট’-এর একটি গাড়ির ছবি তোলায় তাঁকে হত্যা করে জঙ্গি গোষ্ঠীটি৷
ছবি: picture alliance/dpa/T. Felber
পাকিস্তানে নিহত মানবাধিকার কর্মী
পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী সাবিন মাহমুদ গত ২৪ এপ্রিল করাচিতে খুন হন৷ অজ্ঞাত বন্দুকধারী তাঁকে গুলি করে হত্যা করে৷ এ সময় ব্যক্তিগত গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি৷ পাকিস্তানের বালুচিস্তানে সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মাহমুদ৷ এ কারণে একাধিকবার হুমিকও পান তিনি৷
ছবি: DW/R. Saeed
তরুস্কে নিহত সিটিজেন জার্নালিস্ট
গত ৩০ অক্টোবর তুরস্কে খুন হন সিটিজেন জার্নালিস্ট ইব্রাহিম আব্দ আল-কাদের৷ তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট’-এর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন সিরিয়ার এই ব্লগার৷ তাঁর জবাই করে হত্যা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিহত ৬৫ সাংবাদিক
আরএসএফ-এর ওয়েবসাইটে নিহত সাংবাদিকদের তালিকা আলাদাভাবে দেয়া হয়েছে৷ সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট সংগঠনটির হিসেব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫ সাংবাদিক, কারাবন্দি আছেন ১৫৩ জন৷ এছাড়া ১৬২ নেটিজেনও কারাবন্দি রয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abbas
7 ছবি1 | 7
মাহবুব হাসান দোষীদের শাস্তি দাবি করে লিখেছেন, ‘‘মাছরাঙা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি বদরুদ্দোজা বাবু ভাই, মাজহার মিলন ভাই, ক্যামেরাপার্সন সাইফুল ভাইসহ পাঁজনকে আটকে রেখে মারধর করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই৷ সেই সাথে দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই৷''