1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পুনর্মিলন

৩ অক্টোবর ২০১৫

পঁচিশ বছর আগে সাবেক চ্যান্সেলর হেলমুট কোল জার্মানির পূর্বাঞ্চলের মানুষদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাদের দেশ ফলে-ফুলে ভরে উঠবে৷ জার্মানির পুবে আর পশ্চিমে জীবনযাত্রার মান কিন্তু আজও এক নয়৷

Merkel bei Festakt 25 Jahre Deutsche Einheit
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Woitas

নয়ত এই পঁচিশ বছরে মোট ৩৩ লাখ মানুষ পুব থেকে পশ্চিমে চলে আসতেন না৷ সে তুলনায় পশ্চিম থেকে পুবে গেছেন ২১ লাখ মানুষ৷ সেই সঙ্গে আছে জন্মহার হ্রাস৷ কাজেই সব মিলিয়ে ১৯৯১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে জার্মানির পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যা বিশ লাখ কমে দাঁড়িয়েছে মোট এক কোটি পঁচিশ লক্ষে৷ এ কথা জানিয়েছেন ফেডারাল পরিসংখ্যান দপ্তরের প্রধান রোডেরিশ এগেলার৷ তবে ২০১২ এবং ২০১৩ সালে এই প্রবণতা কিছুটা কমে; এমনকি ২০১৩ সালে পশ্চিম থেকে বাস উঠিয়ে যত মানুষ বার্লিন ও সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলিতে গেছেন, পুব থেকে পশ্চিমে তত মানুষ আসেননি৷

প্রবীণদের সংখ্যা বেশি, বেকারত্বও বেশি

জার্মানির পূর্বাঞ্চলের তথাকথিত ‘নয়া' ফেডারাল রাজ্যগুলিতে – এক বার্লিন বাদে – জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশের বয়স ছিল চল্লিশের ওপর – এ-টা ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান৷ ১৯৯১ সালে কিন্তু সেই জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশের বয়স ছিল চল্লিশের বেশি৷ অবশ্য জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেও চল্লিশোর্ধে মানুষদের অনুপাত ১৯৯১ সালে ছিল ৪৭ শতাংশ, যা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ শতাংশে৷

কিন্তু কর্মজীবীদের পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯১ থেকে ২০১৩, এই ২২ বছরে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে কর্মরত ব্যক্তিদের সংখ্যা ১৩ দশমিক তিন শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৪২ লক্ষে; পুবে (বার্লিন বাদে) সেই সংখ্যা ১৪ দশমিক চার শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৮ লক্ষে৷ আরো বড় কথা, গতবছর জার্মানির পূর্বাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল বারো শতাংশ, যা কিনা পশ্চিমের প্রায় দ্বিগুণ৷

তবে পুবের পরিস্থিতি যে ক্রমেই আরো ভালো হয়ে এসেছে, তার প্রমাণ: ১৯৯৭ সালে পুবে বেকারত্বের হার ছিল ১৭ দশমিক সাত শতাংশ, যা কিনা ১৯৯১ সালের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি৷ বেতন বা পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও পশ্চিম আর পুবের মধ্যে ব্যবধান কমে এসেছে৷ পুবের বেতন আজ পশ্চিমের ৭৬ শতাংশ, ১৯৯১ সালে যা ছিল ৪৭ শতাংশ৷

অর্থাৎ বহু ক্ষেত্রেই দুই জার্মানির পুনর্মিলন একটি চলমান প্রক্রিয়া বা প্রবণতা৷ তার গতির কম-বেশি হতে পারে, কিন্তু দিক বা লক্ষ্যের ভুল হবার কোনো সম্ভাবনা নেই৷

এসি/ডিজি (এএফডি, ইপিডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ