পঁচিশ বছর আগে সাবেক চ্যান্সেলর হেলমুট কোল জার্মানির পূর্বাঞ্চলের মানুষদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাদের দেশ ফলে-ফুলে ভরে উঠবে৷ জার্মানির পুবে আর পশ্চিমে জীবনযাত্রার মান কিন্তু আজও এক নয়৷
বিজ্ঞাপন
নয়ত এই পঁচিশ বছরে মোট ৩৩ লাখ মানুষ পুব থেকে পশ্চিমে চলে আসতেন না৷ সে তুলনায় পশ্চিম থেকে পুবে গেছেন ২১ লাখ মানুষ৷ সেই সঙ্গে আছে জন্মহার হ্রাস৷ কাজেই সব মিলিয়ে ১৯৯১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে জার্মানির পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যা বিশ লাখ কমে দাঁড়িয়েছে মোট এক কোটি পঁচিশ লক্ষে৷ এ কথা জানিয়েছেন ফেডারাল পরিসংখ্যান দপ্তরের প্রধান রোডেরিশ এগেলার৷ তবে ২০১২ এবং ২০১৩ সালে এই প্রবণতা কিছুটা কমে; এমনকি ২০১৩ সালে পশ্চিম থেকে বাস উঠিয়ে যত মানুষ বার্লিন ও সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলিতে গেছেন, পুব থেকে পশ্চিমে তত মানুষ আসেননি৷
ঐতিহাসিক বার্লিন প্রাচীর পতনের ২৫ বছর
আজ থেকে ঠিক ২৫ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক বার্লিন প্রাচীর ভাঙার মধ্য দিয়ে দুই জার্মানির একত্রীকরণ হয়েছিল৷ তৎকালীন পূর্ব জার্মানির শান্তিপূর্ণ বিপ্লব, বার্লিন প্রাচীরের নানা কথা থাকছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিশ্বের ইতিহাস বদলে দেয়া আন্দোলন
২৫ বছর আগে পূর্ব জার্মানির লাইপশিস শহরে শান্তিপূর্ণ মিছিলের মধ্য দিয়ে এক আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যে মিছিলে অংশ নিয়েছিলো ৭০,০০০ মানুষ৷ সেই মিছিলের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল অন্যান্য শহরেও৷ ভেঙে গিয়েছিল বার্লিন প্রাচীর৷ বিশ্বের ইতিহাসে জন্ম নিয়েছিল এক নতুন ইতিহাস৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘চেক পয়েন্ট চার্লি’
বার্লিন প্রাচীর ঘেঁষে ছিল এই সীমান্ত পাহারা কেন্দ্রটি, যেটা চেক পয়েন্ট চার্লি নামেই পরিচিত ছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্র বাহিনীর সেনা এবং কূটনীতিকরা যাতায়াত করতেন এই রাস্তা দিয়ে৷ রাস্তাটি ছিলো ১৯৬১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত৷ বর্তমানে এই ঐতিহাসিক জায়গায় একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে৷
ছবি: AFP/Getty Images
এখন তাঁরা সবাই এক জনগোষ্ঠী
যে প্রাচীর টপকাতে গেলেই মৃত্যুর ভয় ছিলো সে প্রাচীর খুলে দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরই সমস্ত ভয় কেটে যায় জার্মান জনগণের৷ প্রাচীরের সামনে পেছনে, ওপরে, সব জায়গায়ই যেন আনন্দের বন্যা বইছিল৷ এখন পূর্ব আর পশ্চিমের মানুষ বলে কিছু নেই, এখন তাঁরা সবাই এক জনগোষ্ঠী৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ
নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে প্রতিবাদ আন্দোলন পোঁছে পূর্ব জার্মানির রাজধানী পূর্ব বার্লিনে৷ হাজার হাজার মানুষ সংস্কার ও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে৷ তবে তাঁদের লক্ষ্য ছিলো, এসময় যেন কোনো হিংসাত্মক ঘটনা না ঘটে৷ এটা ছিলো পূর্ব জার্মানি ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ৷
ছবি: Reuters/Hannibal
বিরোধীরা আরো সক্রিয় হয়
পূর্ব বার্লিনের আলেকজান্ডার প্লাৎসে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভটি সরাসরি টিভিতে সম্প্রচার করা হয়৷ বিক্ষোভকারীরা ভ্রমণ ও সমাবেশ অনুষ্ঠানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানায় সেখানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Martti Kainulainen
স্বপ্ন যখন সত্য হয়
১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর রাতে অনেক স্মরণীয় ঘটনা ঘটে৷ মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব জার্মানির শত শত নাগরিক হেঁটে, সাইকেলে এবং ট্রামান গাড়িতে করে পশ্চিম বার্লিনে প্রবেশ করে৷ সেদিন চেক পয়েন্ট চার্লি বা সীমান্ত পাহাড়া কেন্দ্রে মানুষ আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে, ঠিক যেন কোলনের কার্নিভালের মতো৷
ছবি: imago/Sven Simon
বার্লিন প্রাচীরের আসল টুকরো
ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখতে রাজনীতিকদের লক্ষ্য ছিলো ১৯৬১ সালে বার্লিন প্রাচীর তৈরির সময়কার কিছু ইটের নমুনা যেন বন শহরের ইতিহাস বিষয়ক মিউজিয়ামে স্থান পায়৷ আজ সেই স্মৃতিচিহ্ন মিউজিয়াম দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়৷
ছবি: DW/H. Mund
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বরের রাতে ডয়চে ভেলের বিভিন্ন ভাষা বিভাগের কর্মীরা সরাসরি সম্প্রচার করার জন্য ‘ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সমিটার’ নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ডুডারস্টাট শহরের সীমান্তে৷ সে দলের সঙ্গী হয়ে ছিলাম আমিও৷ পূর্বের মানুষেরা এত বছর পর কীভাবে মিলিত হচ্ছেন পশ্চিমের মানুষদের সঙ্গে সেটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার৷ সবার চোখে ছিল জল আর ঠোঁটে হাসি৷ স্বচক্ষে দেখা এ ঘটনা কোনোদিনই ভোলার নয়!
ছবি: picture-alliance/dpa
কলকাতায় উদযাপন
বার্লিনের প্রাচীর পতনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জার্মান কনসুলেটের উদ্যোগে কলকাতায় নানা অনুষ্ঠান হচ্ছে৷ এর মধ্যে আন্তর্জাতিক গ্রাফিতি ও হিপ হপ কর্মশালা উল্লেখযোগ্য৷ ছবির এই দেয়ালচিত্রটি কলকাতা থেকেই পাঠানো৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
কূটনীতিকদের বাগানে রিফিউজি ক্যাম্প
১৯৮৯ সালের গ্রীষ্মে সাবেক পূর্ব জার্মানির জনগণের কাছে এই জায়গাটি খুবই জনপ্রিয় ছিলো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
10 ছবি1 | 10
প্রবীণদের সংখ্যা বেশি, বেকারত্বও বেশি
জার্মানির পূর্বাঞ্চলের তথাকথিত ‘নয়া' ফেডারাল রাজ্যগুলিতে – এক বার্লিন বাদে – জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশের বয়স ছিল চল্লিশের ওপর – এ-টা ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান৷ ১৯৯১ সালে কিন্তু সেই জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশের বয়স ছিল চল্লিশের বেশি৷ অবশ্য জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেও চল্লিশোর্ধে মানুষদের অনুপাত ১৯৯১ সালে ছিল ৪৭ শতাংশ, যা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ শতাংশে৷
কিন্তু কর্মজীবীদের পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯১ থেকে ২০১৩, এই ২২ বছরে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে কর্মরত ব্যক্তিদের সংখ্যা ১৩ দশমিক তিন শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৪২ লক্ষে; পুবে (বার্লিন বাদে) সেই সংখ্যা ১৪ দশমিক চার শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৮ লক্ষে৷ আরো বড় কথা, গতবছর জার্মানির পূর্বাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল বারো শতাংশ, যা কিনা পশ্চিমের প্রায় দ্বিগুণ৷
তবে পুবের পরিস্থিতি যে ক্রমেই আরো ভালো হয়ে এসেছে, তার প্রমাণ: ১৯৯৭ সালে পুবে বেকারত্বের হার ছিল ১৭ দশমিক সাত শতাংশ, যা কিনা ১৯৯১ সালের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি৷ বেতন বা পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও পশ্চিম আর পুবের মধ্যে ব্যবধান কমে এসেছে৷ পুবের বেতন আজ পশ্চিমের ৭৬ শতাংশ, ১৯৯১ সালে যা ছিল ৪৭ শতাংশ৷
দুই জার্মানির পুনর্মিলন ৩রা অক্টোবর৷ সেই উপলক্ষ্যে জার্মানির ১৬টি অঙ্গরাজ্যের একটি পরিচিতি থাকলো এই ছবিঘরে৷
বাভেরিয়া
বাভেরিয়া হলো জার্মানিতে পর্যটকদের সবচেয়ে প্রিয় গন্তব্য৷ প্রত্যেক বছর সাড়ে সাত লাখ পর্যটক এই প্রদেশটিতে আসেন৷ বাভেরিয়া – জার্মানে ‘বায়ার্ন’ – তার ঐতিহ্যের জন্য খ্যাত: ‘ট্রাক্টেন’ নামধারী মহিলাদের পোশাক অথবা পুরুষদের ‘লেডারহোজেন’ এবং বিয়ার৷ বাভেরিয়ায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষের বাস৷ রাজধানী হলো মিউনিখ৷
বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গ
দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানিতে বাভেরিয়ার প্রতিবেশি হলো বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গ প্রদেশ৷ এখানকার ভাষায় একটা আঞ্চলিক টান আছে, একবার শুনলেই বোঝা যায়৷ নয়ত প্রদেশটি সমৃদ্ধ, মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি কোম্পানির হেডকোয়ার্টার্সও এই বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গে৷
বার্লিন
জার্মানির ১৬টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে আছে তিনটি নগর রাজ্য, তাদের মধ্যে একটি হলো ফেডারাল জার্মান প্রজাতন্ত্রের রাজধানী বার্লিন৷ বার্লিনে ৩৪ লাখ মানুষের বাস৷ বার্লিন যেন বার বার তার ভোল পাল্টায় – পর্যটকরা ঠিক যে কারণে বার্লিনকে ভালোবাসেন৷
হামবুর্গ
আরো একটি নগর রাজ্য৷ হ্যানসিয়্যাটিক শহর হামবুর্গে মোট ১৭ লাখ মানুষের বাস৷ এই বন্দরনগরী যেন জার্মানির তোরণদ্বার৷ ব্যবসা-বাণিজ্য ভালোই বোঝেন হামবুর্গের মানুষেরা৷
ব্রেমেন
জার্মানির সবচেয়ে খুদে রাজ্য৷ মাত্র ৬ লাখ ৬৪ হাজার মানুষের বাস৷ বস্তুত একটি নয়, দু’টি শহর: ব্রেমেন আর ব্রেমারহাফেন৷ রাজ্যটিকে ঘিরে রয়েছে নিম্ন স্যাক্সনি৷ ব্রেমেন-এও হ্যানসিয়্যাটিক ট্র্যাডিশন আর বিশ্বকুটুম্বিতার ছোঁয়া পাওয়া যায়৷
নিম্ন স্যাক্সনি
শহর কম, প্রকৃতি বেশি৷ জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্যে বাস করেন মোট ৮০ লক্ষ মানুষ৷ রাজধানী হলো হ্যানোফার৷
নর্থ রাইন ওয়েস্ট ফালিয়া
রাইন নদের ধারের হাসিখুশি মানুষ আর কর্মঠ ‘ভেস্টফালেন’-দের নিয়ে এই রাজ্য৷ জনসংখ্যায় জার্মানির বৃহত্তম: মোট এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের বাস৷ কোলোন এখানকার বৃহত্তম শহর, কিন্তু রাজধানী হলো ড্যুসেলডর্ফ৷
রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেট
এখানে তৈরি হয় ওয়াইন৷ সেই সঙ্গে আছে জঙ্গলে ঘোরা৷ রাইন, মোজেল, নাহে কিংবা ‘আর’ নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য যেমন মনোরম, তেমনই এই সব নদীর ঢালের আঙুরখেত থেকে তৈরি ওয়াইন সারা বিশ্বে খ্যাত৷ এই রাজ্যে বাস করেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ৷ রাজধানী হলো মাইনৎস৷
হেসে
হেসে মানেই হলো ফ্রাংকফুর্ট আম মাইন, অর্থাৎ মাইন নদীর তীরে ইউরোপীয় ব্যাংকিং-এর কেন্দ্রবিন্দু৷ ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দরও অনুরূপ বিখ্যাত এবং গুরুত্বপূর্ণ৷ হেসে রাজ্যে ৬১ লক্ষ মানুষের বাস৷ রাজধানী হলো ভিজবাডেন৷
সারল্যান্ড
দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির এই ছোট্ট রাজ্যটির নাম ইতিহাসে বার বার লেখা আছে৷ কাছেই ফ্রান্স ও লাক্সেমবুর্গ৷ সারল্যান্ডের পরিবেশটা ইউরোপীয়৷ এখানে লাখ দশেক মানুষের বাস৷ রাজধানী হলো সারব্রুকেন বা জারব্র্যুকেন৷
শ্লেসভিগ-হলস্টাইন
বালটিক সাগর আর উত্তর সাগরের মাঝে এই রাজ্যটির বেলাভূমি, বন্দর অথবা দ্বীপ, সবই আছে৷ এখানে ২৮ লাখ মানুষের বাস৷ রাজধানী হলো কিল৷
মেকলেনবুর্গ-ফোরপম্যার্ন (বা পশ্চিম পমেরানিয়া)
রাজ্যটি বালটিক সাগরের তীরে৷ এককালে কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানির অংশ ছিল৷ এখানে ১৭ লাখ মানুষের বাস৷ রাজধানী হলো শোয়েরিন৷
ব্রান্ডেনবুর্গ
মেকলেনবুর্গ ফোরপমার্নের প্রতিবেশী রাজ্য, আগে পূর্ব জার্মানির অংশ ছিল৷ বার্লিনকে ঘিরে রয়েছে ব্রান্ডেনবুর্গ৷ রাজধানী পট্সডাম তার বিভিন্ন প্রাসাদ ও হৃদের জন্য বিখ্যাত৷ ব্রান্ডেনবুর্গে ২৫ লাখ মানুষের বাস৷
স্যাক্সনি
সাবেক পূর্ব জার্মানির এই রাজ্যটি আয়তনের দিক থেকে মাঝারি হলেও, রাজধানী ড্রেসডেনের ব্যারোক স্থাপত্য অথবা তথাকথিত ‘স্যাক্সনির সুইজারল্যান্ডের’ প্রাকৃতিক দৃশ্য একবার দেখলে ভোলবার নয়৷
স্যাক্সনি-আনহাল্ট
রাজ্যটিতে অষ্টাদশ শতাব্দীর উদ্যান থেকে শুরু করে স্থপতি ভাল্টার গ্রোপিউস-এর প্রখ্যাত ‘বাওহাউস’ শৈলীর নিদর্শন অবধি নানা বিচিত্র বস্তু দেখতে পাওয়া যাবে৷ এখানে মোট ২৪ লাখ মানুষের বাস৷ রাজধানী হলো মাগডেবুর্গ৷
ট্যুরিঙ্গিয়া
ট্যুরিঙ্গিয়া বা ট্যুরিঙ্গেন রাজ্যটি ঠিক জার্মানির মাঝখানে৷ লুথার, শিলার, গ্যোটের মতো কবি-দার্শনিক-ধর্মপ্রচারকদের দেশ৷ মোট ২৩ লাখ মানুষের বাস এই রাজ্যে৷ রাজধানী হলো এরফুর্ট৷