ভারতে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৬০ বছর৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ক্ষেত্রে তা পাঁচ বছর বেশি, অর্থাৎ ৬৫ বছর৷

চীনে নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে বৈষম্য স্পষ্ট৷ সেখানে নারীরা সর্বোচ্চ ৫০ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন, তবে পুরুষদের ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত চাকরি করার সুযোগ রয়েছে৷

১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জাপানের চাকরি থেকে অবসরের সর্বোচ্চ বয়স ছিল ৫৫৷ তবে ১৯৯৮ সালে তা বাড়িয়ে ৬০ বছর করা হয়৷ তারপর থেকে অবসরের বয়সসীমা ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে৷ এখন যে কেউ ৬২ বছর ৭ মাস পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন৷ ২০২৫ সালের মধ্যে তা বেড়ে ৬৫ বছর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

রাশিয়াতেও নারী আর পুরুষের চাকরি থেকে অবসরের বয়স এক নয়৷ নারীদের ৫৫ আর পুরুষদের ৬০ বছর৷

ব্রিটেনেও এক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি৷ পুরুষদের চাকরি থেকে অবসর নেয়ার বয়স ৬৫ বছর আর নারীদের ৬০ বছর৷ তবে ২০২০ সালের মধ্যে নারী-পুরুষের জন্য অভিন্ন বয়স নির্ধারণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের৷

এই দেশগুলোতে অবসর নেয়ার বয়স ৬৫ থেকে ৬৬ বছরের মধ্যে৷ জার্মানিতে চাইলে ৬৫ বছরের আগেও অবসর নেয়া যায়, তবে পেনশন পাওয়া যায় ৬৫ বছরের পর থেকে৷

সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকদের অবসর নেয়ার সর্বোচ্চ বয়স মাত্র ৪৯ বছর৷ তবে বিদেশিরা স্বাভাবিক অবস্থায় ৬০ বছর এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন৷

২০১৭ সালে অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর করা হয়৷ তবে চাইলে বয়স ৬৫ হলেও অবসর নেয়া যায়৷

এই দু’টো দেশে অবসরের সর্বোচ্চ বয়স ৬৭৷

এই দুই দেশে অবসরের বয়স এখন সাড়ে ৬৫ বছর৷ তবে ২০২৩ সালে তা ৬৭ বছর করা হবে৷ তারপর থেকে বছরে ছয় মাস করে বাড়িয়ে ২০৩৫ সালে অবসরের বয়স ৭০ করার কথা ভাবছে সরকার৷

যুক্তরাষ্ট্রে অবসরের গড় বয়স ৬৬ বছর৷ সাধারণভাবে বয়সসীমা ৬৫ নির্ধারণ করেছে সরকার৷ তবে যাঁদের জন্ম ১৯৩৮ সাল বা তার পরে, তাঁরা ৬৫ বছরের পরেও চাকরির মেয়াদ বাড়াতে পারেন৷ ১৯৫৯ সালের পরে জন্ম নেয়া ব্যক্তিদের ৬৭ বছর পর্যন্ত চাকরি করার সুযোগ রয়েছে৷