‘৫৭ ধারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের সুযোগ আছে’
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭![Golam Rahman Datenschutzkommission Bangladesch](https://static.dw.com/image/37502274_800.webp)
ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ড. মোঃ গোলাম রহমান বলেন, ‘‘এটার (তথ্যপ্রযুক্তি আইন) ইন্টারপ্রিটেশন অনেক ক্ষেত্রেই খুব সাবজেক্টিভ, বিশেষ করে ৫৭ ধারায় যা বলা হয়েছে৷ সাবজেক্টিভ হওয়ার কারণে আমরা দেখি, ন্যূনতম, মানে অপরাধযোগ্য বলে মনে না হলেও কোনো কোনো ব্যক্তি ফেঁসে যাচ্ছেন৷’’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ‘ফেক নিউজ’ তথা ভুয়া খবরের প্রভাব থাকার অভিযোগ ওঠায় বাংলাদেশের প্রধান তথ্য কমিশনারের কাছে প্রশ্ন ছিল, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কীরকম এবং তা প্রতিরোধে সরকার কী করছে?
উত্তরে ড. রহমান বলেন, ‘‘ফেক নিউজের বিষয়টা নতুন না৷ এখন যুক্তরাষ্ট্রে হচ্ছে বলে বিষয়টি লাইমলাইটে এসেছে৷ বাংলাদেশেও পত্রপত্রিকায় ফেক নিউজ হয়েছে৷ ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়াতে এটার প্রভাব অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ফেক নিউজ হচ্ছে, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ইমপোজড, আরোপিত৷ বিশেষ করে মনে হয় যেন, এটি অর্গানাইজড একটা বিষয়৷’’ তিনি বলেন, ফেসবুকে অপপ্রচারের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, জ্বালাও পোড়াও হয়েছে, জানমালের ক্ষতি হয়েছে৷
প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ হতে পারে এবং সেই সুযোগ আছে৷ তিনি মনে করেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার হতে পারে এবং এটা প্রতিরোধের প্রয়োজন আছে, আবার একই সাথে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে সঠিকভাবে ব্যবস্থাটি গৃহীত হচ্ছে না, এটাও আছে৷ সুতরাং এটা দুই দিক থেকেই বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ৷’’
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন মন্তব্যে৷