মাল্টা সাগরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাসমান শরণার্থীদের কয়েকজনের দায়িত্ব নিচ্ছে জার্মানি৷ মাল্টা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে জার্মান বেসরকারি সংস্থার দুটি উদ্ধারকারী জাহাজে করে ৪৯ জন শরণার্থীকে ডাঙায় তোলা হয়৷
বিজ্ঞাপন
শরণার্থী গ্রহণ প্রসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর চলমান দ্বন্দ্বের মধ্যেই জার্মানি তাদের দায়িত্ব গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে৷ কমপক্ষে ৬০ জন শরণার্থীকে নিতে রাজি জার্মানি৷
মাল্টা প্রশাসন এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছে, জার্মান এনজিও সি ওয়াচ-৩ এবং অধ্যাপক আলব্রেখট পেনক এই কাজে নিয়োজিত ছিলেন৷ সেই বার্তায় সবার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদও জানায় প্রশাসন৷
উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর ও ২৯ ডিসেম্বর মাল্টার জলসীমায় যথাক্রমে ৩২ জন ও ১৭জন শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়৷ তাঁদের নৌকাতেই ভাসমান জীবন কাটাতে হচ্ছে৷ কারণ, ইউরোপীয় দেশগুলো শরণার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রেখেছে৷ গত ২ সপ্তাহ ধরে সমুদ্রেই ছিল অসহায় শরণার্থী পরিবারগুলো৷
জাজিমে ঢুকে স্বপ্নের ইউরোপে!
01:17
মাল্টার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, এই ৪৯ জনের আগেও ২৪৯ জন ভাসমান শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত এদের মধ্য থেকে ৬০ জনের দায়িত্ব গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জার্মানি৷ ইউরোপের অন্য কোনো দেশ এখনো আগ্রহ প্রকাশ করেনি৷
এর আগে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার সাংবাদিকদের বলেন, জার্মান এনজিও এই মুহূর্তে যে শরণার্থীদের উদ্ধার করেছে, সেই ৫০ জনকে আমরা এখনি নিতে প্রস্তুত৷ তবে আমাদের প্রত্যাশা ও দাবি থাকবে, আমাদের সঙ্গে ইউরোপীয় অন্যান্য দেশও সংহতি জানাবে৷
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাল্টার প্রেসিডেন্ট জোশেফ মাস্কাট এক বিবৃতিতে বলেন, ২৪৯ শরণার্থীকে ৮ ইউরোপীয় দেশে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তেই তাঁর দেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল৷ দেশগুলো হচ্ছে জার্মানি, ফ্রান্স, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, রোমানিয়া, লুক্সেমবুর্গ, নেদারল্যান্ডস ও ইটালি৷ তিনি আশা প্রকাশ করেন, জার্মানির মতো ইউরোপের অন্য দেশগুলোও এখন এগিয়ে আসবে৷
জেফারসন চেজ/এফএ
শরণার্থীদের সহায়তায় আরেক শরণার্থী
ইমাদ আল-আরনাব নামে সিরীয় এক শরণার্থী লন্ডন শহরে গড়ে তুলেছেন রেস্তোরাঁ৷ সেই রেস্তোরাঁর আয়ের টাকা পাঠাচ্ছেন নিজ দেশের এক হাসপাতালে৷
ছবি: DW/M. Karakoulaki
লন্ডন থেকে দামেস্ক
একটি দাতব্য সংস্থার সহযোগিতায় ইমাদ লন্ডন শহরে গড়ে তোলেন ১৩টি রেস্তোরাঁ৷ রেস্তোরাঁগুলোয় তিনি দেশীয় খাবারের স্বাদ দিচ্ছেন সিরীয়দের আর আয়ের টাকার একটি অংশ দান করছেন আলেপ্পোর এক হাসপাতালে৷
ছবি: DW/M. Karakoulaki
আসল ফালাফেল
‘‘ফলাফেল তৈরি করা খুব সহজ, এতে মাত্র পাঁচ রকমের উপকরণ লাগে৷ আমি এখানকার লোকেদের আসল ফালাফেল খাওয়াতে চাই,’’ বললেন ইমাদ৷
ছবি: DW/M. Karakoulaki
শরণার্থীদের জন্য দেশী খাবার
লন্ডনের গ্রেট মার্লবোরো স্ট্রিটে ইমাদের রেস্তোরাঁর একটি ছোট্ট শাখা রয়েছে৷ সেখানে মধপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা জড়ো হন দেশীয় খাবারের স্বাদ পেতে৷
ছবি: DW/M. Karakoulaki
সবার জন্য খাবার
‘‘এ রেস্তোরাঁর মাধ্যমে আমরা সবার জন্য খাবার নিশ্চিত করতে চাই,’’ বলেন ইমাদ৷ জানালেন, রেস্তোরাঁর প্রতি প্যাকেট খাবারের মূল্যের একটি অংশ দিয়ে জর্ডান ও লেবাননে থাকা শরণার্থীদের জন্য খাবার কেনা হয়৷
ছবি: DW/M. Karakoulaki
বড় দিনে বিশেষ খাবার
বড় দিন উপলক্ষে ইমাদ সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবারের এক বিশেষ রেসিপি তৈরি করেছে নলন্ডনবাসীর জন্য৷ লন্ডনবাসীদের অনেকেই সুস্বাদু এ খাবার খেতে ভিড় জমিয়েছেন ইমাদের রেস্তোরাঁয়৷ নতুন এ রেসিপি বিক্রি হয়েছে পুরোটাই৷
ছবি: DW/M. Karakoulaki
বিখ্যাত ইমাদ
ইমাদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে৷ শরণার্থীদের নিয়ে করা বৃটিশ অ্যাকাডেমি অফ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস ২০১৭ পুরস্কারপ্রাপ্ত টিভি সিরিজ ‘এক্সোডাস’-এ অভিনয় করেছেন তিনি৷ সেখানে তাঁর সিরিয়া থেকে লন্ডনে আসার গল্প তুলে ধরা হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Karakoulaki
সিরিয়া মানেই কি যুদ্ধ?
‘‘সিরিয়ার কথা বললেই মানুষ প্রথমে ভাবে যুদ্ধ আর বোমাবাজির কথা৷ কিন্তু সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে আমি মানুষের এ ধারণা পাল্টে দিতে চাই,’’ বলেন ইমাদ৷
ছবি: DW/M. Karakoulaki
ফালাফেলের সুগন্ধে থেমে যায় পথচারী
রেস্তোরাঁ থেকে ছড়িয়ে পড়া ফালাফেলের সুগন্ধে থমকে দাঁড়ান অনেক পথচারী, বোঝার চেষ্টা করেন, রেস্তোরাঁটির সামনে কেন এত লম্বা লাইন৷