৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি নিয়ে রুশ বিমান বিধ্বস্ত
২৪ জানুয়ারি ২০২৪
৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি বহনকারী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, বিমানে থাকা কেউ বেঁচে নেই।
ইউক্রেনের বেলগোরোদ অঞ্চলের ইয়াবলোনোভোর কাছে আবাসিক এলাকায় রাশিয়ার সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়ছবি: UGC/AP/picture alliance
বিজ্ঞাপন
সামরিক পরিবহণ বিমানে ৭৪ জন আরোহী ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি। বুধবার ইউক্রেনের কাছে একটি সীমান্ত অঞ্চলে বিমানটি ভেঙে পড়ে। বেলগোরোদ এলাকায় বিমান এভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এলাকার গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্লাদকভ উল্লেখ করেননি বিমানটিতে কারা ছিলেন। তবে তিনি বলেছেন, বিমানে থাকা কেউ বেঁচে নেই।
বেলগোরোদ এলাকায় বিমান এভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নিছবি: UGC/AP/picture alliance
বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিশ্চিত করতে পারেনি বিমানে কতজন ছিলেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা যাচাই না করে কোনো তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানানো হয়। তারা বলেছে, যুদ্ধবন্দিদের সীমান্ত অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বন্দি বিনিময়ের কথা ছিল৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বিমান তুষারাবৃত গ্রামীণ অঞ্চলে ভেঙে পড়ছে। ভিডিও দেখে একটি আগুনের বল মাটিতে নেমে আসছে বলে মনে হয়েছে।
আরকেসি/এসিবি (এপি)
রুশ-অধিকৃত ইউক্রেনে শিশুদের শিক্ষার লড়াই
ইউক্রেনের কিছু অংশ দখল করে অবৈধভাবে রাশিয়ায় সংযুক্ত করার পর অনেক শিক্ষককে রুশ ভাষায় কাজ করতে এবং মস্কো-অনুমোদিত পাঠ্যক্রম অনুসরণ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
ছবি: Alexander Reka/Tass/IMAGO
ভূখণ্ড দখলের পর ভবিষ্যৎ দখলের লড়াই
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল - ঝাপোরিজঝিয়া, খেরসন, দোনেৎসক এবং লুহানস্ক রাশিয়াতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ভূখণ্ড দখলের পর সেখানকার জনগণের, বিশেষ করে শিশুদের রুশিকরণের দিকে নজর দিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।
ছবি: Yuri Kadobnov/AFP/Getty Images
ইউক্রেন যুদ্ধকে বৈধতা দিয়ে পাঠ্যবই
ইউক্রেনের রুশ-অধিকৃত এলাকায় অভিভাবক ও শিক্ষকেরা মস্কোর আরোপ করা নতুন শিক্ষানীতি না মানলে ভয়ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন হন। রুশ ভাষায় পাঠ্যক্রমে ইউক্রেন যুদ্ধের ন্যায্যতা প্রমাণ করে নতুন ইতিহাসের বইও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
লাখ লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিক তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে রুশ ভাষায় কথা বলে। ২০১৪ সালের ইউরোময়দান আন্দোলনের পর কিয়েভ আইন পাস করে স্কুল, টেলিভিশন এবং সরকারি খাতের কর্মীদের মধ্যে ইউক্রেনীয় ভাষার ব্যাপক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে। ইউক্রেন সরকারের বিরুদ্ধে রুশভাষী সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছিল মস্কো। এবার একইভাবে দখল করা পূর্ব ইউক্রেনে পালটা বয়ান তৈরির চেষ্টা করছে রাশিয়া।
ছবি: Gaelle Girbes/Getty Images
শিক্ষা যখন প্রোপাগান্ডা মেশিন
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রাশিয়ার বিরুদ্ধে "শিক্ষাকে শিশুদের প্ররোচিত করার জন্য একটি প্রচার যন্ত্রে পরিণত করার" অভিযোগ করেছে। অনুসারে, মস্কো বর্তমানে ২০১৪ সালে সংযুক্ত করা ক্রিমিয়ান উপদ্বীপসহ ইউক্রেনের ১৮ শতাংশেরও কম এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। ইউক্রেন জানিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশুদের জন্য প্রায় ৯১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল অধিকৃত এলাকায়।
ছবি: Genya Savilov/AFP/Getty Images
শিক্ষাবিদদের 'গেরিলা' কৌশল
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় ভাষায় পড়াশোনা চালু রাখতে রুশ হুমকি উপেক্ষা করেই ঝুঁকি নিচ্ছেন কিছু শিক্ষক, ছাত্র এবং অভিভাবক। বাগানে গর্ত খুঁড়ে বা অন্য কোথাও লুকিয়ে রাখছেন ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন। স্কুল গ্রন্থাগারিকেরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে তারা সরবরাহ করছেন ইউক্রেনীয় বই। রুশ সামরিকবাহিনী প্রায়ই বিভিন্ন গ্রামে নির্বিচারে তল্লাশি চালায় বলেও জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।