1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৭০ বছরে সার্ন

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

হিগস-বোসন কণার কথা অনেকেই জানেন৷ এই কণা খুঁজে পাওয়ার পেছনে সার্ন-এর অবদান সবচেয়ে বেশি৷

সার্ন
১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সার্নছবি: SALVATORE DI NOLFI/Keystone/picture alliance

সার্ন হচ্ছে ‘ইউরোপিয়ান অর্গ্যানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ'৷

১৯৫৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ ২০২৪ সালে ৭০ বছরে পা দিয়েছে কণাপদার্থবিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি৷ আরও অনেক উদ্ভাবনের সঙ্গে সার্নের নাম জড়িয়ে আছে৷

১৯৫৪ সালে ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্তের কাছে জেনেভা শহরের বাইরে যখন সার্নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন  করা হয় তখন হাই-এনার্জি ফিজিক্স বিষয়টি নিয়ে এখনকার মতো এত আলোচনা ছিল না৷ এর কয়েক দশক পর সার্নে বিভিন্ন উদ্ভাবনের কারণে ‘স্ট্যান্ডার্ড মডেল' তত্ত্ব গঠন সম্ভব হয়৷ এই মডেল কণাপদার্থবিজ্ঞানের একটি তত্ত্ব, যার কাজ মহাবিশ্বের গাঠনিক একক নিয়ে৷ আরও কিছু উদ্ভাবনের সঙ্গে সার্নের নাম জড়িয়ে আছে৷

সার্ন কাউন্সিলে জার্মান সায়েন্টিফিক ডেলিগেট ক্লাউস ডেশ বলেন, ‘‘সবচেয়ে পরিচিত উদ্ভাবনটি হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব৷ এছাড়া আছে মেডিকেল ফিজিক্স ও লাইফ সায়েন্সের অনেক উদ্ভাবন, হাসপাতালের জন্য অ্যাক্সিলারেটরসহ অনেক কিছু৷''

সার্নের মূল বিষয় হচ্ছে পার্টিকল বা কণা অ্যাক্সিলারেটর, যার সাহায্যে হাই-এনার্জি ফিজিক্সের বিভিন্ন পরীক্ষা করা সম্ভব হয়৷ অতীতে এমন অনেক অ্যাক্সিলারেটর বানানো হয়েছে৷ এর মধ্যে আছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ ২৭ কিলোমিটার লম্বা একটি রিং, যার নাম লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার বা এলএইচসি৷ এর মধ্যে কণাকে বিপরীত দিক থেকে অনেক দ্রুতগতিতে চালনা করা হয়, এরপর চূর্ণ করা হয় (2:35)৷ এভাবে হিগস-বোসন কণার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যেটি অনেকদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছিল না৷

সার্নের যত অবদান

02:58

This browser does not support the video element.

এই কণা পাওয়া যাওয়ায় পদার্থবিদ পিটার হিগস ও তার সহকর্মী ফ্রঁসোয়া অ্যাংলেয়ার ২০১৩ সালে নোবেল পান৷

সবচেয়ে বড় যন্ত্র দিয়ে সবচেয়ে ছোট কণা খোঁজার চেষ্টা শেষ হয়ে যায়নি৷ স্ট্যান্ডার্ড মডেলে এখনও অনেকে অজানা প্রশ্ন আছে৷ সার্নে প্রস্তাবিত আরেকটি পার্টিকল অ্যাক্সিলারেটর হয়ত এগুলোর উত্তর পেতে সহায়ক হতে পারে৷ ফিউচার সার্কুলার কোলাইডার বা এফসিসি নামে ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কোলাইডার তৈরিতে কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ হবে৷ এলএইচসি বা অন্য কোলাইডার দিয়ে যা সম্ভব নয়, তা এফসিসি দিয়ে সম্ভব হবে৷ কিন্তু এটি কি সত্যিই দরকার?

ক্লাউস ডেশ বলেন, ‘‘অজানা বিষয়কে জানতে চাইলে নতুন একটি কোলাইডার নির্মাণ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই৷ এফসিসির কারণে আমাদের সুযোগ তৈরি হতে পারে- কণাপদার্থবিজ্ঞানে আমাদের যত গুরুত্বপূর্ণ অজানা প্রশ্ন আছে তার উত্তর পাওয়া যেতে পারে৷''

এফসিসি তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে৷ এটি আসলেই তৈরি করা হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়৷ তবে এটি না হলেও কণাপদার্থবিজ্ঞান নিয়ে জেনেভার সার্নে ভবিষ্যতেও দারুণ সব কাজ হবে৷ শুভ জন্মদিন সার্ন!

ডেরেক উইলিয়ামস/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ