রবিবার ছিল জার্মানিতে এবারের সবচেয়ে বেশি গরমের দিন৷ জার্মানির রাজ্য রাইনল্যান্ড ফালৎজ-এ তাপমাত্রা ৩৮.৯ ডিগ্রি পেরোলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন৷
এর আগে ১৯৪৭ সালের জুনমাসে জার্মানির ব্যুহলেরটাল শহরে তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রী হলে তা রেকর্ড সৃষ্টি করে৷ কিন্তু গত ৩০শে জুনের এই তাপমাত্রা ভেঙে দিয়েছে সেই রেকর্ড৷
হামবুর্গে একটি ম্যারাথন চলাকালীন ৫৭জন প্রতিযোগী অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ দমকলকর্মীরা জানান, তীব্র গরমের ফলে সেদিন জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা চালু করতে হয় তাদের৷
গ্রীষ্মের দাবদাহে নাভিশ্বাস সকলের৷ প্রচন্ড এ গরম কিভাবে মোকাবেলা করছে প্রাণীরা৷ ছবিঘরে দেখুন গরমে মানিয়ে নিতে কি করে থাকে প্রাণীকূল৷
ছবি: APকত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে উটেরা? বিজ্ঞানীরা বলছেন, মরুভূমির উটেরা ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে৷ এ সময় তারা দু’সপ্তাহ পর্যন্ত পানি না খেয়েও কাটিয়ে দিতে পারে বলে জানা গেছে৷
ছবি: picture alliance/rtn/F. Gentschপ্রচন্ড গরমে কাবু হয় বিশালদেহী হাতিও৷ প্রাণিটির চামড়ার উপরে থাকা ছোট ছোট লোম শরীরকে অতি উত্তপ্ত হওয়া থাকে বাঁচায়৷
ছবি: picture alliance/dpa/B. Roesslerবাদামি রঙের এ খরগোশটি কান হচ্ছে গরম মোকাবেলার হাতিয়ার৷ এর মধ্য দিয়েই খরগোশগুলো তীব্র গরমে শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে৷ তবে গরমের সমটিতে তারা ছায়ার নিচে থাকতেই বেশি পছন্দ করে৷
ছবি: imagoগরমের সময়ে আয়েশি ভঙ্গিতে গাছের ডালে এভাবে বসে থাকে কাঠবিড়ালিরা৷ এতে তাদের শরীরের শক্তি খরচ হয় কম৷ তবে তাদের শরীর পানি জমা রাখতে পারে না৷ আর এ কারণে তীব্র গরমের সময়ে তারা জলাশয়ের আশেপাশে থাকাকেই নিরাপদ মনে করে৷
ছবি: picture alliance/dpa/F. von Erichsenশরীরে অনেক চর্বি থাকায় গরম খুব একটা সহ্য করতে পারে না তারা৷ এ সময় এ প্রাণীরা ঠান্ডা মাটিতে দাপাদাপি করে থাকে৷ তবে গরম তাদের শরীরে ওজন কমিয়ে আনে৷
ছবি: picture alliance/rtn/R. Holschneiderগরমে অসস্তি হয় সারসদেরও৷ শরীরের কিছু অঙ্গ ব্যববহার করে তারা গরম মোকাবেলা করে থাকে৷ যেমন, নিজের বড় পাখা মেলে ধরে গরমকে ঠেকানোর চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে এ প্রাণীগুলো৷
ছবি: picture alliance/Hinrich Bäsemannগরমে ভালোই কাতর হয় কুকুর৷ প্রচণ্ড গরমে মুখ খোলা রেখে খুব দ্রুত শ্বাস উঠানামা করে তারা৷ গরমে প্রচন্ড পিপাসার্তও হয় এ প্রাণী৷
ছবি: picture alliance/dpa Themendienst/M. Scholz ফ্রান্স ও জার্মানিতে দাবদাহের ফলে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন মানুষ, যার মধ্যে বেশির ভাগই প্রবীণ ব্যক্তি৷
শুধু মানুষই নয়, গরমের জেরে হার মানছে ঘরবাড়িও৷ প্রবল তাপে সম্প্রতি ভেঙে পড়ে স্টুটগার্টের একটি বাড়ির ব্যালকনি বা ঝুলবারান্দা৷ ঘটনায় ৬জন আহত হলেও তেমন গুরুতর চোট পাননি কেউ৷
আফ্রিকায় গরম হাওয়া, ইউরোপে দাবদাহ
ফ্রান্স, ইটালি, বুলগেরিয়া, পর্তুগাল, স্পেন, গ্রিস ও মেসিডোনিয়ায় তাপমাত্রা এবারের গ্রীষ্মে
৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে৷
রবিবার পোপ ফ্রান্সিসের প্রার্থনাসভাতেও উঠে আসে ইউরোপজুড়ে এই অস্বাভাবিক দাবদাহের কথা৷ পোপ জানান, তাঁর প্রার্থনায় তিনি দাবদাহে আক্রান্তদের স্মরণ করবেন৷
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এমন অস্বাভাবিক গরমের জন্য আসলে দায়ী উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে আসা গরম হাওয়ার দমকা৷ তবে তারা এ-ও জানান, আসন্ন সপ্তাহে তাপমাত্রা কমবে৷
এসএস/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)