1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউএস ওপেন

১১ সেপ্টেম্বর ২০১২

সোমবার ইউএস ওপেনের ফাইনালে নোভাক জোকোভিচকে হারালেন ব্রিটেনের অ্যান্ডি মারে৷ তিনি যে শুধু ‘চোকার’ নন, তিনি যে ফাইনালে জিততে পারেন, নিজের কাছে, দেশবাসীর কাছে এবং জগতের কাছে প্রমাণ করে দিলেন মারে৷

Britain's Andy Murray kisses his trophy after defeating Serbia's Novak Djokovic in the men's singles final match at the U.S. Open tennis tournament in New York, September 10, 2012. REUTERS/Shannon Stapleton (UNITED STATES - Tags: SPORT TENNIS)
Andy Murray gewinnt US Openছবি: Reuters

২৫ বছর বয়সী স্কটসম্যান যখন জিতলেন, তখন জেমস বন্ড অভিনেতা শন কনারি স্বয়ং উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছেন, কেননা তিনিও স্কটল্যান্ডের লোক৷ আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে পাঁচ সেটের থ্রিলারে মারে জেতায় প্রতিদ্বন্দ্বী নোভাক জোকোভিচও খুশি, গতবারের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন, বিশ্ব ব়্যাংকিং'এ দু'নম্বর জোকোভিচ৷ বলেছেন, অ্যান্ডির তো ক্ষমতা, প্রতিভা, সবই আছে৷ ফেডারার, নাদাল, মারে এবং জোকোভিচ নিজে, এরা হলেন টেনিসের বিগ ফোর৷ জোকোভিচের মতে এই চারজন খেলাটাকে একটা সম্পূর্ণ নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন৷

ন'মাস আগে ইভান লেন্ডল মারে'র কোচ হন, এককালের নাম-করা টেনিস খেলোয়াড়৷ সে যাবৎ মারে'র খেলার ধরণ ও মনোবৃত্তি পাল্টে গেছে৷ উইম্বলডনেই রজার ফেডারার'কে হারাতে পারতেন মারে, যদিও সেজন্য তাঁকে অলিম্পিক অবধি অপেক্ষা করতে হয়েছে৷ অলিম্পিকে জয়ই যেন তাকে সেই মানসিক স্থৈর্য এবং আত্মবিশ্বাস এনে দেয়৷ লেন্ডল অবশ্য তাঁর মন্ত্রশিষ্যের জয়ে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়েছেন কি ফোটাননি, বোঝা দায়৷ লেন্ডল'এর কাছে ওটাই হাসি, বলেছেন মারে৷ তিনিও নাকি গুরুর কাছ থেকেই উচ্ছ্বাস বর্জন করা শিখেছেন৷ লেন্ডল আর মারে'র জুটি শেষমেষ সফল হল কেন, তার আরো একটা কারণ এ'ও হতে পারে যে, লেন্ডলও তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের সূচনায় পর পর চারটি ফাইনালে হারার পর পঞ্চমটিতে জেতেন৷ চেক না হয়ে ব্রিটিশ খেলোয়াড় হলে, তাঁরও নাম হতো ‘চোকার'!

অলিম্পিকে ফেডারারকে হারিয়ে স্বর্ণপদক নেন অ্যান্ডি মারেছবি: Reuters

ফেরা যাক মারে'র কথায়৷ যে ব্রিটিশ জাতি বস্তুত আধুনিক টেনিসের উদ্ভাবন করেছে, তাদের হয়ে পুরুষদের খেলায় শেষবার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন ফ্রেড পেরি, ১৯৩৬ সালে৷ আর এবার অ্যান্ডি মারে৷ কাঠের ব়্যাকেট হাতে লম্বা সাদা ট্রাউজার্স পরে খেলতেন পেরি৷ মারা যান ১৯৯৫ সালে, ৮৫ বছর বয়সে৷ কিন্তু আজ নিশ্চয় তিনি ওপর থেকে দেখছেন এবং হাসছেন - বলেছেন মারে৷ এবার মারে'র নিজের স্বপ্ন হবে: জীবদ্দশায় আরেকজন ব্রিটিশ প্লেয়ারকে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে দেখে যাওয়া৷

১৯৯৬ সালে স্কটল্যান্ডের ডানব্লেনের একটি প্রাইমারি স্কুলে ঢুকে এক আত্মঘাতী বন্দুকধারী ১৬ জন পড়ুয়া এবং একজন শিক্ষকের জীবন নেয়৷ আট বছর বয়সের অ্যান্ডি মারে তখন সেই স্কুলের ছাত্র - একটি বেঞ্চের তলায় লুকিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিল৷ তার যে ইতিহাস রচনা করা বাকি৷

এসি / এসবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ